জীবন থেকে চলে গেল আরেকটি বছর। ক্যালেন্ডারের পাতায় ইতিহাস হয়ে থাকবে ২০২১ সাল। শুরু হবে নতুন বছরের নতুন তারিখ গণনা। যদিও প্রাত্যহিক জীবনের খুব বেশি পরিবর্তন হয়তো হবে না। সবই চলবে আগের নিয়মে। সূর্য ওঠবে, পাখি ডাকবে। জীবন প্রবহমান থাকবে জীবনের নিয়মে।
কা লে র যা ত্রা র ধ্ব নি
একটি বাণী-কথন প্রযোজনা
শুক্রবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১
বুধবার, ২৩ জুন, ২০২১
দেশ দেশান্তরে শিশু-শিক্ষার রকমফের
বাংলাদেশসহ পৃথিবীর আরো দুটি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কেও বলা আছে এই এক মলাটের ভিতর। এশিয়ারই একটি দেশ – জাপান, অন্যটি নেদারল্যান্ডস, ইউরোপ মহাদেশের একটি দেশ। না, এই বইয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কিত কোনো কল্প-কাহিনী ছাপা হয় নি, কিংবা বই পড়ে বা আন্তর্জাল থেকে তথ্য সংগ্রহ করে লেখা কোনো বইও এটি নয়, প্রত্যেকে তাদের বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে উল্লিখিত দেশগুলোর শিক্ষা-ব্যবস্থা সম্পর্কে আমাদের জানার সুযোগ করে দিয়েছেন। তাঁরা নিজেরা দেখেছেন, জেনেছেন, উপলব্ধি করেছেন, সুবিধা-অসুবিধাকে অনুধাবণ করেছেন এবং সেই অভিজ্ঞতাকে তুলে ধরেছেন। বিদেশে অনেকে যান, থাকেন বছরের পর বছর, নিজেরা পড়াশুনা করেন, নিজের সন্তানদের পড়াশুনার ব্যবস্থা করেন, কিন্তু ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সেই সব অভিজ্ঞতা অন্যকে জানানোর কাজটি ক’রে ওঠতে পারেন না। নিজের দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা, সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা এবং সেগুলো থেকে উত্তরণের পথ বাতলানোর কাজে অনেক ধৈর্য, ইচ্ছাশক্তি, সাহসের দরকার হয়। এই সবগুলোর সম্মিলন হয় না ব’লে এই ধরনের কাজ খুব একটা চোখে পড়ে না। ব্যক্তিগত হাজারো ব্যস্ততা, গবেষণার চাপ, পরিবার-পরিজনের দায়ভার ইত্যাদি সব সামলে এই ধরনের একটা প্রকাশনার জন্য এর সাথে যুক্ত সবাই ধন্যবাদ পেতেই পারেন।
রবিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২১
প্রিয় জীবনানন্দ ও কিছু বিচ্ছিন্ন ভাবনা
''অন্ধকারে জেগে উঠে ডুমুরের গাছে
চেয়ে দেখি ছাতার মতন বড়ো পাতাটির নিচে ব’সে আছে
ভোরের দোয়েল পাখি– চারিদিকে চেয়ে দেখি পল্লবের স্তুপ
জাম-বট-কাঁঠালের-হিজলের-অশ্বত্থেরা ক’রে আছে চুপ;
ফণীমনসার ঝোপে শটিবনে তাহাদের ছায়া পড়িয়াছে;
মধুকর ডিঙা থেকে না জানি সে কবে চাঁদ চম্পার কাছে
এমনই হিজল-বট-তমালের নীল ছায়া বাংলার অপরূপ রূপ দেখেছিলো;''
জীবনানন্দের কবিতা ইদানিং স্বপ্নে জাগরণে হানা দেয়। বিশেষ করে ‘রূপসী বাংলা’র কবিতাগুলো। এগুলো এমনিতেই ভীষণ প্রিয় ছিল, এখনো ভালোলাগার ভালোবাসার কবিতার তালিকা এগুলোর নাম ওপরের দিকে থাকবে। বাংলা কবিতার দুই দিকপাল রবীন্দ্রনাথ ও জীবনানন্দ আজো মনকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। কত কবিতাই তো পড়া হয়, ভালো লাগে, কিন্তু সবসময়ের সঙ্গী হয়ে থাকে দু’জন। রবীন্দ্রনাথের গীতবিতানকেও আমি কবিতার মতই পড়ি। প্রেম, প্রকৃতি, ঈশ্বরচেতনা ছাড়াও আধুনিকতা, রোমান্টিসিজম, নিহিলিজম, পরাবাস্তবতা সবকিছুর সংশ্লেষ এই দুই কবির কবিতায় কী চমৎকারভাবে উৎকীর্ণ! কবিতার মধ্যে বুঁদ হয়ে থাকার মধ্যে আছে এক ধরনের অনিঃশেষ ও অনির্বচনীয় সুখ। আর সেটাকে উপলব্ধির মধ্যে হয়তো পাওয়া হয়ে যায় অমৃতের স্বাদ। কবিতা তো ভাষা, কল্পনা, বাস্তবতা, পরাবাস্তবতা ইত্যাদির অদ্ভূত মিশেল। ভাষার সাথে আছে রূপক, উপমা, উৎপ্রেক্ষা, চিত্রকল্প, অনুপ্রাস ছাড়াও বহুবিধ অলঙ্কার। চিন্তা, কল্পনা ও বোধির জগতে আলোড়ন তোলার এই যে অপূর্ব প্রচেষ্টা তার সাথে আর কিসের তুলনা চলে!
মে ২০২০, করোনাক্রান্তিকাল
বনশ্রী, ঢাকা
বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০
ফেলে আসা বাড়ি - কে হায় হৃদয় খুঁড়ে - ১
জনৈক দাদাকে
প্রিয় দাদা,
প্রণাম ও শুভেচ্ছা জানবেন। ফেইসবুকে আপনার একটি মন্তব্যের আলোকে এই লেখা। ভুল-ত্রুটি সংশোধনের সুযোগ আছে, এবং আপনার প্রত্যুত্তর আমাকে অনেক উৎসাহ যোগাবে।
আপনি একসময় বেশ লেখালেখি করতেন। আমার অনুরোধ আবার শুরু করুন, আমাদের বাড়ি, আমাদের অতীত-ইতিহাস, আমাদের অতীতের এবং বর্তমানের যাপিত জীবন - এগুলোর গুরুত্ব অপরিসীম। আজ সারা পৃথিবীতে আমরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছি, আমাদের কথা আমরা না বললে, আমাদের পূর্ব-পুরুষেরা এবং আমরা নিজেরাই ইতিহাসের পাতা থেকে একদিন বিলীন হয়ে যাবো। নতুন প্রজন্ম কোনো দিশা খুঁজে পাবে না। সবার সম্মিলিত স্মৃতির মাধ্যমে আমরা আমাদের অতীত ইতিহাসকে ভাবীকালের জন্য রেখে যেতে পারবো।