কখনো কখনো পড়ন্ত বিকেলে, সূর্য যখন তার সব লালিমা ঢেলে দিয়ে ধরণীকে এক অপরূপ সুধা দিয়ে তার রং-তুলি ও বাক্স-পেটরা গুছিয়ে সেদিনের মত নিদ্রা যাওয়ার আয়োজন করে আমি তখন দিগন্তের কোল ঘেঁষে আকাঁবাঁকা রেল-লাইন ধরে হেঁটে যেতাম দিকশূন্যপূরের দিকে।
বিকেলের সেই অপূর্ব ও নরোম আলো আমার শরীর ছুঁয়ে, আমার শরীর ও ইন্দ্রিয়ের প্রতিটি কণাকে জাগ্রত করে আমাকে বেভূল করে দিত। আমি হাঁটতাম আর আকাশের পানে তাকিয়ে থাকতাম। সন্ধ্যাকে পান করার এতো যে আনন্দ তা কোথা হতে আসত আমি আজো ভেবে মরি।
রাতের নির্জনতা আমাকে আজীবন তাড়া করে ফিরতো। বিশেষ করে গহীন কোনো গ্রামের বা যাকে আমরা গণ্ডগ্রাম বলি তার পূর্ণিমার যে কী অনির্ণেয় রহস্য ও অবর্ণনীয় সৌন্দর্য তা ভাষায় ব্যক্ত করা এই অর্বাচীনের পক্ষে অসাধ্য নয় শুধু ঔদ্ধত্যও বটে। রাতের যে এতো রূপ বর্ষায়, হেমন্তে, শীতে; কিংবা পূর্ণিমায়, অমবশ্যায় তার এই যে বিচিত্র প্রকাশ তা কয়েক জন্মেও দেখে তৃপ্তি আসবে না বলে আমার বিশ্বাস। প্রকৃতির এই যে মোহনীয় আকর্ষণ তা কী আমাদের মানস-চক্ষে নাকি প্রকৃতির নিজের মধ্যে এই মায়াখেলা নিহিত থাকে তা আমাকে ভাবনার জগতে নিয়ে যায়। অজস্র তারার একটি আকাশের জন্য এই যে মুগ্ধ আকুলতা, তা যেমন কৃষ্ণ-পক্ষের সময় সত্য তেমনি পূর্ণিমার আকাশের জন্য আমাদের যে তীব্র ব্যাকুলতা কাজ করে তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। বাংলাদেশের কোনো নির্জন প্রান্তের আকাশের রূপের সাথে হাজার মাইল দূরের আফ্রিকার আকাশের বেশ অমিল থাকলেও দুটোই ভালো লাগার অদ্ভূত অনুভূতিতে আচ্ছন্ন করবেই।
তবে ভোরের বা শেষ রাতের রহস্যময়তার কাছে পৃথিবীর আর সব কিছু তুচ্ছ। এই সময়টা নিয়ে কত গালগল্প রচিত হয়েছে তার সীমা পরিসীমা নাই। খুব নিবিড় ভাবে ভোরের প্রতিটি মুহূর্তকে পর্যবেক্ষণ করা নিশ্চিত একটা পূনর্জন্ম লাভের সৌভাগ্য অর্জন করার সমতূল্য। ভোর সময়টার মধ্যে এক অদ্ভূত তেজ থাকে। এই তেজের অন্তর্নিহিত কারণ নতুন একটা দিনের প্রারম্ভ বলে নয় অধিকন্তু এর মধ্যে অব্যাখ্যেয় ও অতিপ্রাকৃত এক অলৌকিকতা জড়িয়ে থাকে। যার কাছে জীবন অর্থহীন এই মুহূর্তটা তাকে হয়তো দিতে পারে জীবনের এক অদ্ভূত ও অনির্বচনীয় ব্যাখ্যা আর যে জীবনের অর্থপূর্ণতার ভারে জর্জরিত তার কাছে জীবনের অর্থহীনতা প্রাঞ্জলভাবে ধরা দিতে পারে।
বিকেলের সেই অপূর্ব ও নরোম আলো আমার শরীর ছুঁয়ে, আমার শরীর ও ইন্দ্রিয়ের প্রতিটি কণাকে জাগ্রত করে আমাকে বেভূল করে দিত। আমি হাঁটতাম আর আকাশের পানে তাকিয়ে থাকতাম। সন্ধ্যাকে পান করার এতো যে আনন্দ তা কোথা হতে আসত আমি আজো ভেবে মরি।
রাতের নির্জনতা আমাকে আজীবন তাড়া করে ফিরতো। বিশেষ করে গহীন কোনো গ্রামের বা যাকে আমরা গণ্ডগ্রাম বলি তার পূর্ণিমার যে কী অনির্ণেয় রহস্য ও অবর্ণনীয় সৌন্দর্য তা ভাষায় ব্যক্ত করা এই অর্বাচীনের পক্ষে অসাধ্য নয় শুধু ঔদ্ধত্যও বটে। রাতের যে এতো রূপ বর্ষায়, হেমন্তে, শীতে; কিংবা পূর্ণিমায়, অমবশ্যায় তার এই যে বিচিত্র প্রকাশ তা কয়েক জন্মেও দেখে তৃপ্তি আসবে না বলে আমার বিশ্বাস। প্রকৃতির এই যে মোহনীয় আকর্ষণ তা কী আমাদের মানস-চক্ষে নাকি প্রকৃতির নিজের মধ্যে এই মায়াখেলা নিহিত থাকে তা আমাকে ভাবনার জগতে নিয়ে যায়। অজস্র তারার একটি আকাশের জন্য এই যে মুগ্ধ আকুলতা, তা যেমন কৃষ্ণ-পক্ষের সময় সত্য তেমনি পূর্ণিমার আকাশের জন্য আমাদের যে তীব্র ব্যাকুলতা কাজ করে তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। বাংলাদেশের কোনো নির্জন প্রান্তের আকাশের রূপের সাথে হাজার মাইল দূরের আফ্রিকার আকাশের বেশ অমিল থাকলেও দুটোই ভালো লাগার অদ্ভূত অনুভূতিতে আচ্ছন্ন করবেই।
তবে ভোরের বা শেষ রাতের রহস্যময়তার কাছে পৃথিবীর আর সব কিছু তুচ্ছ। এই সময়টা নিয়ে কত গালগল্প রচিত হয়েছে তার সীমা পরিসীমা নাই। খুব নিবিড় ভাবে ভোরের প্রতিটি মুহূর্তকে পর্যবেক্ষণ করা নিশ্চিত একটা পূনর্জন্ম লাভের সৌভাগ্য অর্জন করার সমতূল্য। ভোর সময়টার মধ্যে এক অদ্ভূত তেজ থাকে। এই তেজের অন্তর্নিহিত কারণ নতুন একটা দিনের প্রারম্ভ বলে নয় অধিকন্তু এর মধ্যে অব্যাখ্যেয় ও অতিপ্রাকৃত এক অলৌকিকতা জড়িয়ে থাকে। যার কাছে জীবন অর্থহীন এই মুহূর্তটা তাকে হয়তো দিতে পারে জীবনের এক অদ্ভূত ও অনির্বচনীয় ব্যাখ্যা আর যে জীবনের অর্থপূর্ণতার ভারে জর্জরিত তার কাছে জীবনের অর্থহীনতা প্রাঞ্জলভাবে ধরা দিতে পারে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন