ইদানিং বানানের ব্যাপারে অনেকের উন্নাসিকতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। সবাই নিজের মত করে ভাষাকে বদলাতে চায়।
তাদের যুক্তি ভাষা প্রবহমান ও পরিবর্তনশীল।
সুতরাং ভাষাকে যে যে ভাবে চায় চলতে দেয়া হোক।
কিন্তু কিছু বিশেষ ব্যক্তির এই ধরনের ইচ্ছার যৌক্তকতা কতটুকু ? এবং তাদের এই প্রবণতা আমাদের মাতৃভাষার সুদূরপ্রসারী কোনো ক্ষতি করছে কিনা তা কি আমাদের ভেবে দেখা কি উচিৎ না?
কিন্তু কিছু বিশেষ ব্যক্তির এই ধরনের ইচ্ছার যৌক্তকতা কতটুকু ? এবং তাদের এই প্রবণতা আমাদের মাতৃভাষার সুদূরপ্রসারী কোনো ক্ষতি করছে কিনা তা কি আমাদের ভেবে দেখা কি উচিৎ না?
অনেকে বানানে চন্দ্রবিন্দু উহ্য রাখতে চান, হ্রস্ব- ই কার এবং দীর্ঘ-ই কার এর মধ্যে পার্থক্য রাখার পক্ষপাতী নন। বানানকে সহজ করার অজুহাতে ণ তুলে দেয়ার জন্য মায়াকান্না করেন। চন্দ্রবিন্দু তুলে দিয়ে কেউ কেউ এরি মধ্যে হাস্যকর বাংলা লেখাও শুরু করেছেন। র, ড়, ঢ় ইত্যাদি বর্ণের পার্থক্য ঘুছিয়ে দেয়ার জন্য এ সবগুলোর জন্য র ব্যবহারের উপদেশবাণী বর্ষণ করে চলেছেন। ৎ এর প্রতি শত্রুতার কাহিনী আর নাই বা বললাম। বাংলার এত সুন্দর বর্ণমালা থাকা সত্ত্বেও অনেকের রোমান হরফে বাংলা লেখার খায়েসও পোষণ করেন।
যদি সত্যিকার অর্থে এটা ভাষার জন্য ভালো কিছু বয়ে আনত তাহলে কারো আপত্তি থাকার কথা না। কিন্তু যুক্তিবাদী মানুষ মাত্রেই জানেন এই ধরনের জোরপূর্বক কর্তন/ছেদন/ বিলোপন কোনো ভাষার জন্য মঙ্গলকর নয়। যুগের প্রয়োজনে ভাষার কিছু সংস্কার হয়ে থাকে বটে কিন্তু তা হয় ভাষার ব্যাপক ও প্রভাববিস্তারী চলমান পরিবর্তনকে ধর্তব্যে এনে।
বাংলা পৃথিবীর অন্যতম একটি ভাষা। প্রায় ২৫ কোটির বেশি লোক এই ভাষায় কথা বলে। এই ভাষার আছে একটি সমৃদ্ধ সাহিত্য। আছে সর্বজনগ্রাহ্য যৌক্তিক ও যুগোপযোগী বর্ণমালা, সুশৃঙ্খল ভাষাপ্রণালী। আমাদের ধ্বনিতত্ত্ব, শব্দতত্ত্ব, বাক্যতত্ত্ব ইত্যাদি নিয়ে অসংখ্য গবেষণা পুস্তিকা না থাকলেও ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ উচ্চমানের গবেষণাগ্রন্থ বহু ভাষাবিদ আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য রেখে গিয়ে আমাদের ঋণের জালে আবদ্ধ করে গেছেন।
কাজেই এই ভাষার যে কোনো সংকোচন বা পরিবর্তন সাধনের আগে বাংলা ভাষার মৌলিক কিছু বিষয়ে অবগত হওয়া ভালো। তাহলে পরিবর্তন আমরা কেন চাই বা কেন চাই না তা যুক্তি সহকারে সবার কাছে তুলে ধরতে পারবো। আমাদের যৌক্তিক অবস্থান অন্যদেরকেও ভাষা বিষয়ে সচেতন করা সহ যথাযথ ভূমিকা পালন করতে উদ্বুদ্ধ করবে।
কোনো সন্দেহ নেই যে ভাষা নিয়ত পরিবর্তনশীল। ভাষাবিজ্ঞানীদের মতে প্রতি বিশ/পঁচিশ মাইল পর পর ভাষার পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়। কাজেই সাধারণভাবে ভাষাকে জোরপূর্বক পরিবর্তন করা অসাধ্য বটে। কিন্তু সচেতনভাবে চাইলে একটা ভাষার ব্যাপক ক্ষতি সাধন সম্ভব। সেটা হয়তো এক প্রজন্মে সম্ভব নয়, কিন্তু প্রজন্মান্তরে একটা ভাষার অস্তিত্ত্ব ও গুরুত্ত্বকে ম্লান করে দেয়া কঠিন নয়।
প্রত্যেকটা ভাষার একটা নিজস্ব সৌন্দর্য আছে। ভাষা একটা জাতির প্রাণ। নিজের ভাষা দিয়ে মানুষ যেভাবে মনের ভাব প্রকাশ করে পরভাষা দিয়ে তা অসম্ভব এই ধরনের আপ্তবাক্যের উদাহরণ না দিয়েও মাতৃভাষার অসাধারণত্ব অনুধাবন করা সম্ভব। ভাষার সাথে জাতির ইতিহাস ঐতিহ্য এমনভাবে প্রোথিত থাকে যে তা থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা মানে সে জাতিকে বিকলাঙ্গ ও অথর্ব করে দেয়ার মতই ভয়ঙ্কর।
বাংলা বানানের ব্যাপক সংস্কার সাধিত হয়েছে গত কয়েকশো বছরে। সে পরিবর্তনের পেছনে ছিল ভাষার চলমান প্রবণতা ও আধুনিকায়ন। ভাষার মধ্যে কোন অসামঞ্জস্য ব্যাপার বা ভ্রান্তিজনক কিছু থাকলে তা সংশোধনের মাধ্যমে যদি কালোপযোগী করা সম্ভব হয় তা না করাটা কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়। কিন্তু যদি ভাষার কোনো অযৌক্তিক বা অপ্রাসঙ্গকিক প্রয়োগ ব্যাপকভাবে প্রচলিত থাকে তাকে পরিবর্তন না করে নিয়মের ব্যতিক্রম হিসেবে রেখে দেয়াকে ব্যাকরণ সমর্থন করে। কারণ আমাদের মনে রাখতে হবে আগে ভাষা তারপর ব্যাকরণ। ব্যাকরণ অনুসরণ করে মানুষ ভাষার ব্যবহার শুরু করে নি, বরং মানষের ভাষা ব্যবহারের প্রবণতাকে অবলোকন করে ভাষাবিদরা সে নিয়ম-কানুনগুলোকে সুশৃঙ্খল ভাবে লিপিবদ্ধ করে তাকে ব্যাকরণ নাম দিয়েছে।
চন্দ্রবিন্দু তুলে দিলে ভাষা কোনোভাবেই সহজ হয় না। এ-ক্ষেত্রে দেখা দেবে প্রচুর বিভ্রান্তি। বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত অনেক শব্দের তৎসম রূপ আছে। তৎসম হলো হুবহু সংস্কৃত থেকে আসা শব্দ ( এছাড়াও আমাদের আছে প্রচুর দেশি ও বিদেশি শব্দ। বিদেশি শব্দগুলো এখন বাংলা ভাষার নিজস্ব সম্পদে পরিণত হয়েছে। অর্ধ-তৎসম বা তদ্ভব শব্দ তত্সম শব্দেরই বিবর্তিত রূপ।) যেমন চন্দ্র যার তদ্ভব রূপ হলো চাঁদ। এছাড়াও কান্না থেকে কাঁদা, সাঙ্কম থেকে সাঁকো, হংস থেকে হাঁস, অঙ্কন থেকে আঁকা প্রভৃতি। এখানে যেটা লক্ষণীয় চন্দ্রবিন্দুটা বিবর্তিত হয়েছে মূলত ম, ন, ঙ, ং প্রভৃতি নাসিক্য ধ্বনি থেকে। তার মানে কিছু তৎসম শব্দে নাসিক্য ধ্বনি ছিল এবং সেগুলোর বিবর্তিত রূপ সে নাসিক্য ধ্বনিকে সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করে নি। লেখার সময় আমাদের চন্দ্রবিন্দু দিতে হবে শুধু বানান ভুল হবে এই কারণে নয় অধিকন্তু আমাদের উচ্চারণে এই নাকি সুরটা আসে বলে। চন্দ্রবিন্দু যারা তুলে দিতে চায় তারা আমাদের নাককে কীভাবে বন্ধ রাখতে চান সে-ব্যাপারে সুপরামর্শ দিক। ছেলেটা কাদায় পড়ে কাঁদতে লাগলো বাক্যটিকে 'ছেলেটা কাদায় পড়ে কাদতে লাগলো' বলি তাহলে তা উপর্যুক্ত বাক্যের চেয়ে সহজ, সুন্দর ও যৌক্তিক হয়েছে বলেন কেউ তাহলে আমি একমত হতে অপারগ। একি ভাবে 'বেঁচে' থাকা বললে আমরা বুঝবো জীবিত থাকার মত ব্যপারকে কেননা চন্দ্রবিন্দু ছাড়া বললে সেটা 'বিক্রি করা' নামক ক্রিয়াপদকে নির্দেশ করে। এই ধরনের বিষয়গুলো ভাষাকে সহজ করলেও ভাষার বহুমুখিনতা ও প্রকাশের সৌকর্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বাংলা ভাষার অস্তিত্বকে দুর্বল করে দেবে। 'ন' এবং 'ণ' 'স', 'শ' এবং 'ষ' এর জন্য আছে চমৎকার বিধিবদ্ধ 'ণ-ত্ব' ও 'ষ-ত্ব' বিধান। কোন শব্দ বিদেশ-আগত, কোন শব্দ সংস্কৃতের বিবর্তিত রূপ, বর্ণের হেরফের হলে শব্দের অর্থ কেন পরিবর্তিত হয় তা যদি আমরা জানি তাহলে ক্ষতিটা কোথায় তা আমার বোধগম্য নয়।
এই পরিস্থিতির সবচেয়ে করুণ শিকার হবে আমাদের নতুন প্রজন্ম। কেননা তারা যদি ভাষার মৌলিক কিছু উপাদানকে চিনতে না পারে, বর্ণ বুঝতে বিভ্রান্ত হয়, তাহলে তারা আমাদের ধ্রুপদী সাহিত্যগুলো পড়ে বুঝতে পারবে না। বঙ্কিম, রবীন্দ্র, নজরুল বুঝতেই
যদি না পারে ভবিষ্যৎ বাংলা ভাষাকে তবে কারা এগিয়ে নিয়ে যাবে? বিশ্ব দরবারে তাহলে কি বাংলা একটি মৃত ভাষা হিসেবে পরিগণিত হবে?
আমাদের মনে রাখতে হবে পৃথিবীর প্রায় সব ভাষায় কোন না কোন ভাষা থেকে বিবর্তিত হয়, এবং অন্য ভাষা থেকে ঋণ গ্রহণ করে সমৃদ্ধ হতে পারে। আমরা অবশ্য বিদেশি ভাষা শিখব কিন্তু তার আগে মাতৃভাষায় দক্ষতা আনা জরুরী।
ভাষার ব্যুৎপত্তি সবাইকে জানতে হবে এমন কোনো কথা নেই। কিন্তু যে জানতে চায় তার জন্য যেন আমরা পথ খোলা রাখি। যেন সে প্রত্যেকটা শব্দের অর্থ খুঁজে পায়, জানতে পারে শব্দের বিবর্তিত রূপ। সে বুঝুক তার পূর্বপুরুষ তার জন্য রেখে গেছে সুন্দর ও যুক্তিসম্মত ভাষা। সেও যেন তার ভাষার জন্য কিছু করার প্রেরণা বোধ করে।
আর সে কারণেই যে কোন পরিবর্তন হওয়া উচিৎ যুক্তিসম্মত তথা বাস্তবসম্মত। যদি ভাষাকে যাচ্ছেতাইভাবে পরিবর্তন করা হয় তাহলে সব শব্দ হয়ে উঠবে হাস্যকর, শব্দগুলোর মধ্যে থাকবে না কোনো পারম্পর্য, শব্দ হারাবে তার বহুমুখী প্রয়োগ ক্ষমতা। আপাত দৃষ্টিতে মনে হবে ভাষা সরল ও আরামদায়ক হয়েছে আসলে ভাষা হয়ে যাবে দুর্বল ও পঙ্গু। দৈনন্দিন কথাবার্তা হয়তো বন্ধ হবে না, কিন্তু উচ্চ চিন্তাসম্পন্ন কিছু প্রকাশে ভাষা বাধ সাধবে। শব্দ হাতড়াতে হবে, মনের মত বাক্য তৈরি করা যাবে না।
=====================================
=====================================
পাদটীকাঃ
সন্ন্যাসী-র পোস্টে করা আমার মন্তব্যটাও এখানে প্রাসঙ্গিক ভেবে কপি-পেস্ট করে দিলাম। কারণ এই বিষয়ে আরো কিছু গুছিয়ে লেখার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু এই মুহূর্তে আর ইচ্ছা করছে না। তদুপরি কর্মসূত্রে দেশের বাহিরে থাকার কারণে এই মুহূর্তে আমার হাতের কাছে কোনো রেফারেন্স বই নেই। ভাষা-সংক্রান্ত পড়াশোনা করা হয় না অনেকদিন। তাই লেখাটা মনের মত করে লিখতে পারি নি। পরবর্তীতে প্রয়োজন মত সংশোধন ও সংযোজন করার ইচ্ছা আছে।
[একটা ভাষাকে যত সহজে পরিবর্তন করার কথা বলা যায় বাস্তবে তার প্রয়োগ ততোধিক কঠিন। ভাষা আমাদের প্রাণস্পন্দন। প্রত্যেকটা ভাষার একটা নিজস্ব সৌন্দর্য আছে। সহজ করার নামে তার অঙ্গহানি কোনোভাবেই কাম্য নয়, সমাধান তো নয়ই। প্রত্যেকটা শব্দের বানানের সাথে জড়িয়ে থাকে শব্দের অর্থবোধকতা। মন আর মণ বললে হয়তো উচ্চারণের পার্থক্য করা কঠিন, কিন্তু অর্থগত পার্থক্যকে অগুরুত্বপূর্ণ মনে করার কোনো কারণ নেই। ভাষার জোরপূর্বক পরিবর্তন আমাদের ভাব প্রকাশকে অনেক জটিল করে ফেলবে। তদুপরি প্রত্যেকটা শব্দের বানানের সাথে ব্যুৎপত্তিগত অর্থ জড়িত। কাজেই বানান পরিবর্তনে শব্দ হারাবে তার বহুমুখী ব্যবহার প্রবণতা। ক্রিয়া-ভিত্তিক অর্থের পরিবর্তে শব্দগুলো হয়ে যাবে বিশেষ্য- ভিত্তিক। এতে ভাষা কিছুটা সহজ হবে কিন্তু ভাষার প্রকাশ ক্ষমতা অনেক কমে যাবে, যা ভাষাকে দরিদ্র করবে।
উদাহরণস্বরূপ, গবেষণা শব্দটার ব্যুৎপত্তি বিশ্লেষণ করলে পাই গো + এষণা । এষণা মানে খোঁজা আর গো মানে আমার শুধু একটা অর্থ জানি, গরু। কিন্তু আদতে গো শব্দটি ছিল একটি ক্রিয়া এবং ছিল অনেকগুলো অর্থ। গো মানে ছিল যা কিছু যায়, অর্থাৎ চলমান সবকিছু সম্পর্কে অনুসন্ধানই হলো গবেষণা। আগ্রহীরা হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর বঙ্গীয় শব্দকোষ অভিধানটি দেখতে পারেন। আজ আমরা গবেষণা শব্দের ব্যুৎপত্তি নিয়ে বেশ হাসাহাসি করি। ভাষা পরিবর্তনে এই ধরনের অনেক অর্থহীন শব্দ আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে হাসির খোরাক জোগাবে।
ফরাসি ভাষায় অসংখ্য শব্দ আছে যেগুলোর বানানে অনেকগুলো বর্ণ দেখা যায় যার উচ্চারণ হয় না, অথচ ফরাসিদের কোনো দিন বলতে দেখে নি যে তাদের ভাষাকে আধুনিক করার জন্য সংস্কার করা প্রয়োজন, অপ্রয়োজনীয় বর্ণগুলোকে ছেঁটে দিয়ে শব্দটার বানান সহজ করা প্রয়োজন। অধিকন্তু তারা এটাকে সযত্নে লালন করেন কেননা এতে শব্দটার ব্যুৎপত্তিগত অর্থ এবং শব্দটি কোন ভাষা থেকে বা কোথা থেকে এসেছে তা চিহ্নিত করা সহজ হবে ।
ভাষাকে সহজ করার এই প্রবণতা ভাষাকে পঙ্গু করারই নামান্তর। বাংলা ভাষাকে যারা কঠিন বলেন তারা আসলে ভাষাটাকে ভালোভাবে অধ্যয়নের চেষ্টাই করেন নি। পৃথিবীর অনেক ভাষার তুলনায় বাংলা বেশ সহজ ও যৌক্তিক ভাষা। এই ভাষার নিয়ম-কানুনগুলো বেশ বিধিসম্মত ও আধুনিক। বাংলার প্রতি অবহেলা ও ভালোবাসার অভাবের কারণে এই ভাষা আজ অনেকের কাছে কঠিন হিসেবে প্রতীয়মান হচ্ছে। অথচ একটু ইচ্ছা ও প্রচেষ্টা থাকলে আমারা বানান ভুলসহ সব ধরনের অশুদ্ধি এড়িয়ে চলতে পারি।
চাইনিজ ভাষা ধ্বনিভিত্তিক নয়, চিত্রভিত্তিক ( ঠিক হায়রোগ্লিফিক্স এর মত নয় বরং অনেকটা কিউনিফর্মের মত)।
বর্ণমালা শিখে অসংখ্য শব্দ তৈরি করা বা পড়া এই ভাষায় অসম্ভব। অর্থাৎ এই ভাষায় প্রত্যেকটা শব্দ সতন্ত্রভাবে শিখতে হবে। তাদের লেখ্য-রূপও আলাদা। একজন চাইনিজকে এইরকম হাজার হাজার শব্দ বা ক্যারেক্টার শিখতে হয় এবং এগুলোর লেখ্যরূপকে দৃষ্টিশক্তি দিয়ে স্মৃতির মধ্যে গেঁথে রাখতে হয়। "সহজ-কঠিন" বিচারে গেলে বাংলা ভাষা চীনা ভাষার তুলনায় অনেক সহজ। অথচ চীনারা নিজের ভাষাকে কঠিন বলে কখনো অবহেলা করেন না।]
=================================
১৫ জুন ২০১১
বুনিয়া, ডি আর কঙ্গো।
(চতুর্মাত্রিক ব্লগে প্রকাশিত)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন