অনেকদিনের পরিকল্পনা ভারত যাবো। কিন্তু ইউরোপ, আফ্রিকা ঘুরা হয়ে গেল ভারত আর যাওয়া হয়ে ওঠে না। প্রথমবার ভিসার জন্য এপ্লাই করে ভিসাই পাই নি। মেজাজ গেল বিগড়ে। যাইহোক চার মাস পর সব কাগজপত্র প্রস্তুত করলাম, দালালকে ৩০০০ হাজার টাকা দিয়ে এপয়েন্টমেন্ট নিলাম এবং অবশেষে ভিসা পেলাম।
২০১৫ এর ঈদুল-ফিতর এর ছুটি-কে কাজে লাগাবো প্ল্যান করলাম। ১০ দিনের মত ছুটি ছিল, দূরেও কোথাও না গিয়ে ভাবলাম কলকাতা-টা আগে ঘুরে দেখি। যাওয়ার সময় ফরিদপুরের কাছাকাছি একটা এলাকায় আমাদের বাস দূর্ঘটনায় পতিত হয়। ড্রাইভার ব্যাটা বোধহয় ঘুমাচ্ছিল। রাস্তা ছেড়ে অনেক নিচে একটা বাগানের মত এলাকায় ঢুকে পড়ে। বড় একটা গাছের সাথে ধাক্কা খায়। ভাগ্যিস গাড়ির স্পীড কম ছিল, আর ড্রাইভার হাল ছেড়ে দেয় নি শেষ পর্যন্তও শক্ত হাতে স্টীয়ারিং ধরে রাখে। থামার পড়ে পার্কিং দিয়ে দেয় গাড়ি। আমাদেরকে আস্তে আস্তে নেমে আসতে বললো। ব্যাগ নিয়ে নেমে আসলাম। সকালের আগে এই গাড়ির কোনো গতি হবে না বললো আমাদের। ক্রেন আসবে, এই গাড়ি রাস্তায় তোলা হবে, তারপর হয়তো যাত্রা করা যাবে। রাত বাজে ২ টা। সারারাত রাস্তার মধ্যে বসে থাকার কোনো মানে হয় না, আমাদের-কে বললো সোহাগের যে কোনো গাড়িতে উঠে যেতে। ২/৪ জন ক'রে আমরা বিভিন্ন গাড়িতে উঠে গেলাম। এসি-র ভাড়া দিয়ে এখন নন এসি ছোট ছোট বাসে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে যাচ্ছি। আমার তেমন ব্যাগপত্র ছিল না, যুবক মানুষ, কিন্তু গাড়িতে দুয়েক জন বৃদ্ধ দেখেছিলাম, বেশ কয়েকজন মহিলা-যাত্রীও ছিল। ওদের কথা ভেবে মন খারাপ হলো। সোহাগ বাস সার্ভিস-কে অভিসম্পাত দেয়া ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না।
ভোরে এসে বেনাপোল এ পৌঁছলাম। দালালরা এসে ছোঁক ছোঁক করতে লাগলো। আমি দালালদের সব কাজ নিজেই সম্পাদন করলাম। কোনো ঝামেলা ছাড়াই সীমান্ত অতিক্রম করলাম। এই পাড়ের সোহাগ বাস আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিল। বাসে উঠে কলকাতার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করলাম।
কলকাতা এসে যখন পৌঁছলাম তখন দুপুর গড়িয়ে বিকেল। একটা হোটেলে ঢুকে ভাত খেয়ে নিলাম।হোটেলটা ভালোই ছিল। বেশ পরিচ্ছন্ন। নিউ মার্কেট এলাকায় বেশ ভীড়। খাবারের দাম খুব বেশি চড়া মনে হয় নি। পরে এই আরো কয়েকবার খেয়েছি।
কিন্তু ভ্রমণটা সুখকর হয় নি আমার। বাজে ওয়েদার, যখন-তখন বৃষ্টি, তারপর ভ্যাপসা গরম সব মিলিয়ে যা-তা অবস্থা। বৃষ্টিতে একদিন ভিজেছিও। হোটেলের খাবার খেয়ে পেট-ও খারাপ হয়ে গেছে। রেস্টে থেকে আর কিছু কেনাকাটা করে দেশের উদ্দেশে যাত্রা করলাম। বিশেষ কোনো জায়গায় আর যাওয়া হলো না। আবার আসা হবে- এই বলে মনকে বুঝ দিলাম। এলোপাথারি ঘুরার সময় টুকটাক কিছু ছবি তুলেছিলাম সেগুলো নিয়ে এই ব্লগ-কে সাজালাম।
২০১৫ এর ঈদুল-ফিতর এর ছুটি-কে কাজে লাগাবো প্ল্যান করলাম। ১০ দিনের মত ছুটি ছিল, দূরেও কোথাও না গিয়ে ভাবলাম কলকাতা-টা আগে ঘুরে দেখি। যাওয়ার সময় ফরিদপুরের কাছাকাছি একটা এলাকায় আমাদের বাস দূর্ঘটনায় পতিত হয়। ড্রাইভার ব্যাটা বোধহয় ঘুমাচ্ছিল। রাস্তা ছেড়ে অনেক নিচে একটা বাগানের মত এলাকায় ঢুকে পড়ে। বড় একটা গাছের সাথে ধাক্কা খায়। ভাগ্যিস গাড়ির স্পীড কম ছিল, আর ড্রাইভার হাল ছেড়ে দেয় নি শেষ পর্যন্তও শক্ত হাতে স্টীয়ারিং ধরে রাখে। থামার পড়ে পার্কিং দিয়ে দেয় গাড়ি। আমাদেরকে আস্তে আস্তে নেমে আসতে বললো। ব্যাগ নিয়ে নেমে আসলাম। সকালের আগে এই গাড়ির কোনো গতি হবে না বললো আমাদের। ক্রেন আসবে, এই গাড়ি রাস্তায় তোলা হবে, তারপর হয়তো যাত্রা করা যাবে। রাত বাজে ২ টা। সারারাত রাস্তার মধ্যে বসে থাকার কোনো মানে হয় না, আমাদের-কে বললো সোহাগের যে কোনো গাড়িতে উঠে যেতে। ২/৪ জন ক'রে আমরা বিভিন্ন গাড়িতে উঠে গেলাম। এসি-র ভাড়া দিয়ে এখন নন এসি ছোট ছোট বাসে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে যাচ্ছি। আমার তেমন ব্যাগপত্র ছিল না, যুবক মানুষ, কিন্তু গাড়িতে দুয়েক জন বৃদ্ধ দেখেছিলাম, বেশ কয়েকজন মহিলা-যাত্রীও ছিল। ওদের কথা ভেবে মন খারাপ হলো। সোহাগ বাস সার্ভিস-কে অভিসম্পাত দেয়া ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না।
ভোরে এসে বেনাপোল এ পৌঁছলাম। দালালরা এসে ছোঁক ছোঁক করতে লাগলো। আমি দালালদের সব কাজ নিজেই সম্পাদন করলাম। কোনো ঝামেলা ছাড়াই সীমান্ত অতিক্রম করলাম। এই পাড়ের সোহাগ বাস আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিল। বাসে উঠে কলকাতার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করলাম।
কলকাতা এসে যখন পৌঁছলাম তখন দুপুর গড়িয়ে বিকেল। একটা হোটেলে ঢুকে ভাত খেয়ে নিলাম।হোটেলটা ভালোই ছিল। বেশ পরিচ্ছন্ন। নিউ মার্কেট এলাকায় বেশ ভীড়। খাবারের দাম খুব বেশি চড়া মনে হয় নি। পরে এই আরো কয়েকবার খেয়েছি।
কিন্তু ভ্রমণটা সুখকর হয় নি আমার। বাজে ওয়েদার, যখন-তখন বৃষ্টি, তারপর ভ্যাপসা গরম সব মিলিয়ে যা-তা অবস্থা। বৃষ্টিতে একদিন ভিজেছিও। হোটেলের খাবার খেয়ে পেট-ও খারাপ হয়ে গেছে। রেস্টে থেকে আর কিছু কেনাকাটা করে দেশের উদ্দেশে যাত্রা করলাম। বিশেষ কোনো জায়গায় আর যাওয়া হলো না। আবার আসা হবে- এই বলে মনকে বুঝ দিলাম। এলোপাথারি ঘুরার সময় টুকটাক কিছু ছবি তুলেছিলাম সেগুলো নিয়ে এই ব্লগ-কে সাজালাম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন