
চীনের ছেলে-মেয়েরা বেশ হাসি-খুশি থাকতে পছন্দ করে। জীবনাচরণে স্বাধীন-চেতা, পরিশ্রম ওদের মজ্জাগত। খেলা-ধুলাতে সমান আগ্রহ। যাকে বলে একেবারে জীবনী-শক্তিতে ভরপুর। ওদের উচ্ছল জীবন দেখে খুব ভালো লাগতো। চীনে এক সন্তান নীতির কারণে হোক কিংবা অন্য কোনো কারণেই হোক বাচ্চাদের পড়াশুনা, সুস্বাস্থ্য, ভবিষ্যৎ ইত্যাদির প্রতি মা-বাবার পাশাপাশি রাষ্ট্রের দেখভালের একটা ব্যপার আছে। অধিকাংশ কর্মজীবী বাবা-মা সকালে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে সন্তান-কে স্কুলে রেখে যান, কাজ শেষে ফেরার পথে তাদের-কে নিয়ে বাসায় ফেরেন। সবার ক্ষেত্রে না হলেও শহরের অধিকাংশের ক্ষেত্রে এটা প্রজোয্য! বাচ্চাদের পড়াশুনার পাশাপাশি যাতে ভালোভাবে সময় কাটে সেই ব্যবস্থা স্কুল কর্তৃপক্ষ করতেন। দু-একজনের সাথে কথা বলেও এটার সত্যতা পেয়েছি। বাবা-মাকে কম সময় পেলেও এটা যে এক ধরনের স্বাবলম্বী মনোভাব তৈরি ক'রে তাদের মধ্যে এটা নিশ্চিত। তবে মা-বাবাকে পর্যাপ্ত সময় কাছে না পাওয়ার নেতিবাচক প্রভাবও থাকতে পারে - যেটা অল্প-সময়ের মধ্যে আমি হয়তো বুঝতে পারি নি।
আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে যেটা সেটা হলো জীবনীশক্তিতে ভরা এক নতুন প্রজন্ম।
চীন-কে এই প্রজন্ম আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে, আরো শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত করবে সেই মেধা, যোগ্যতা তাদের আছে। তবে সাইবার গেম, ভিডিও গেম ইত্যাদিতেও তারা বেশ আসক্ত। সাইবার ক্যাফেগুলো-তে দেখেছিলাম প্রচুর স্কুল-কলেজের ছাত্রদের ভীড়, এদের পড়াশুনার হাল কেমন সেটা জানা সম্ভব নয়, তদুপরি এদের বেশ-ভূষা, আচার-আচরণও কিছুটা আজিব ধরনের। ওদের কালচারে এটার স্বাভাবিকতা কতটুকু তা নির্ণয় করা এই অল্প-সময়ের মধ্যে সম্ভব হয় নি। আবার কখনো গেলে এই সব পর্যবেক্ষণের আশা রাখি।
![]() | |
আমার খুব প্রিয় একটি ছবি। যেন স্বর্গ থেকে কয়েকজন দেবদূত মর্ত্যের পৃথিবীতে নেমে এসেছে। |
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন