এখন রাত দুইটা। ঘুমানোর চেষ্টা করছি। হয়তো আরো অনেকক্ষণ ধরে কসরত করতে হবে নিদ্রাদেবীর কৃপাদৃষ্টি পেতে।
আগামীকাল সকালে তেমন কোনো কাজ নেই বললে চলে। হয়তো দূরে কোথাও যেতে হবে না প্রতিদিনের মতো। ব্যাপারটা এমন না যে আমি দূরে কোথাও যেতে পছন্দ করি না; বরং উলটো। আমার ভীষণ ভালো লাগে কঙ্গোর আকাঁবাঁকা পথে অনেক দূর পাড়ি দিতে। এখানে রাস্তা বিপদজনক দুটি কারণেঃ এক. মেরামতের অভাবে রাস্তাগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক, দুই, কিছু বিশেষ এলাকার রাস্তাঘাটে প্রায়ই মিলিশিয়াদের আক্রমণের সম্ভবনা থাকে।
এতকিছুর পরেও কঙ্গোর বাহিরের দৃশ্য আমাকে বেশ টানে। এতো সবুজ আর এতো পাহাড়ের সমাবেশ আর কোথাও দেখি নি।এর উর্বর ভূমি যে কারো মনকে আকৃষ্ট করবে।
সহজ সরল কালো মানুষগুলো যখন রাস্তার দুপাশে দাড়িয়ে সাদা সাদা দাঁত বের অমলিন হাসি দেয় তখন যে কোনো হৃদয় আবেগে আপ্লুত হতে বাধ্য। প্রকৃতির এত অগাধ সম্পদের মাঝে থেকেও ওরা ভীষণ গরীব।ওদের চাহিদা যে খুব বেশী তা কিন্তু নয়। এরপরেও ওরা শান্তিতে নেই, চারপাশে হায়েনার দাঁতেল হাসি। জীবন বড্ড বেশি কঠিন ও অনিরাপদ এখানে।
মাঝে মাঝে ভাবি কতো দূর থেকে এসে আমি আজ এই তেপান্তরের দেশে এসে পড়েছি।জীবনে কোনোদিনও ভাবি নি আফ্রিকার এই গহিন জংগলের ভিতর প্রায় আদিম মানুষদের ভীরে দাঁড়িয়ে মধ্যরাতে আমি আকশের দিকে তাকিয়ে থেকে থেকে চন্দ্রালোকে গা ভিজাবো। আদিগন্ত জোৎস্নার জোয়ারে হারিয়ে গিয়ে আমি খুঁজে বেড়াবো আমার হারানো শৈশব।মনে পড়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটিতে গ্রামে যখন বেড়াতে যেতাম অনেক রাত অবধি মাঠের আল ধরে হেঁটে বেড়াতাম। শরৎ কালের পুর্ণিমাগুলোর কথা আমি আজো ভুলতে পারি না। হেমন্তে কিংবা শীতের কোনো কোনো সন্ধ্যায় চোখে মুখে শিশির মেখে আমি আমি ঘরে ফিরছি এই অনুভূতি আজো আমাকে তাড়া করে, এক সুখ-জাগানিয়া অনুভূতি দেয়।আমি আজ এই নিস্তব্ধ রাতে আমার ফেলে আসা সমুদ্র পাড়ের সেই পাড়া গাঁ থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে দাড়িয়ে সেই মধুর সব স্মৃতির জাবর কাটছি।
আগামীকাল সকালে তেমন কোনো কাজ নেই বললে চলে। হয়তো দূরে কোথাও যেতে হবে না প্রতিদিনের মতো। ব্যাপারটা এমন না যে আমি দূরে কোথাও যেতে পছন্দ করি না; বরং উলটো। আমার ভীষণ ভালো লাগে কঙ্গোর আকাঁবাঁকা পথে অনেক দূর পাড়ি দিতে। এখানে রাস্তা বিপদজনক দুটি কারণেঃ এক. মেরামতের অভাবে রাস্তাগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক, দুই, কিছু বিশেষ এলাকার রাস্তাঘাটে প্রায়ই মিলিশিয়াদের আক্রমণের সম্ভবনা থাকে।
এতকিছুর পরেও কঙ্গোর বাহিরের দৃশ্য আমাকে বেশ টানে। এতো সবুজ আর এতো পাহাড়ের সমাবেশ আর কোথাও দেখি নি।এর উর্বর ভূমি যে কারো মনকে আকৃষ্ট করবে।
সহজ সরল কালো মানুষগুলো যখন রাস্তার দুপাশে দাড়িয়ে সাদা সাদা দাঁত বের অমলিন হাসি দেয় তখন যে কোনো হৃদয় আবেগে আপ্লুত হতে বাধ্য। প্রকৃতির এত অগাধ সম্পদের মাঝে থেকেও ওরা ভীষণ গরীব।ওদের চাহিদা যে খুব বেশী তা কিন্তু নয়। এরপরেও ওরা শান্তিতে নেই, চারপাশে হায়েনার দাঁতেল হাসি। জীবন বড্ড বেশি কঠিন ও অনিরাপদ এখানে।
মাঝে মাঝে ভাবি কতো দূর থেকে এসে আমি আজ এই তেপান্তরের দেশে এসে পড়েছি।জীবনে কোনোদিনও ভাবি নি আফ্রিকার এই গহিন জংগলের ভিতর প্রায় আদিম মানুষদের ভীরে দাঁড়িয়ে মধ্যরাতে আমি আকশের দিকে তাকিয়ে থেকে থেকে চন্দ্রালোকে গা ভিজাবো। আদিগন্ত জোৎস্নার জোয়ারে হারিয়ে গিয়ে আমি খুঁজে বেড়াবো আমার হারানো শৈশব।মনে পড়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটিতে গ্রামে যখন বেড়াতে যেতাম অনেক রাত অবধি মাঠের আল ধরে হেঁটে বেড়াতাম। শরৎ কালের পুর্ণিমাগুলোর কথা আমি আজো ভুলতে পারি না। হেমন্তে কিংবা শীতের কোনো কোনো সন্ধ্যায় চোখে মুখে শিশির মেখে আমি আমি ঘরে ফিরছি এই অনুভূতি আজো আমাকে তাড়া করে, এক সুখ-জাগানিয়া অনুভূতি দেয়।আমি আজ এই নিস্তব্ধ রাতে আমার ফেলে আসা সমুদ্র পাড়ের সেই পাড়া গাঁ থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে দাড়িয়ে সেই মধুর সব স্মৃতির জাবর কাটছি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন