ওঁরা কখনোই ঠিকমত সম্মানও
পায় নি। যদিও ওঁরা কখনো লালায়িত ছিল না খেতাব বা পদবী-র জন্য, লোভ ওদেরকে কখনো গ্রাস করে নি। দেশকে সত্যিকারভাবে
ভালোবাসতো ব'লে জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ
করেছিল মাতৃভূমিকে হানাদার-মুক্ত করার জন্য।
ওঁর মুখের দিকে তাকালে বুঝা যায়, খুব সহজ -সরল নিষ্পাপ মুখ, হয়তো গ্রামের কোনো কৃষক, কিংবা কোনো কারখানার শ্রমিক; কী জানি হয়তো ছিল ছাত্র কোনো নাম না জানা বিদ্যাপীঠের। কিন্তু কী দৃঢ়-প্রত্যয়ী মুখ; লক্ষ্যে অবিচল। এ-নামহীন যোদ্ধা হয়তো কোনো সম্মুখ সমরে শহীদ হয়েছেন, কিংবা কোনো গেরিলা আক্রমণ চালাতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন পাক-বাহিনীর হাতে; নির্মম নির্যাতনেও বলে দেন নি তাঁর কোনো সহযোদ্ধার নাম।
কতজন কতভাবে মুক্তিযুদ্ধের সুফল ভোগ করে যাচ্ছে, অথচ ওঁর নামটাও আমরা জানি না। কী জানি হয়তো বেঁচে আছে এই বাংলার কোথাও। হয়তো রিকশা চালায়, কিংবা ভিক্ষা করে। অসুস্থ হলে মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ায় সাহায্যের জন্যে। হাসপাতাল বারান্দায় চিকিৎসাহীন কাতরাতে থাকে। রক্তের প্রয়োজন হলে হাউমাউ ক'রে কাঁদে।
ওঁর মুখের দিকে তাকালে বুঝা যায়, খুব সহজ -সরল নিষ্পাপ মুখ, হয়তো গ্রামের কোনো কৃষক, কিংবা কোনো কারখানার শ্রমিক; কী জানি হয়তো ছিল ছাত্র কোনো নাম না জানা বিদ্যাপীঠের। কিন্তু কী দৃঢ়-প্রত্যয়ী মুখ; লক্ষ্যে অবিচল। এ-নামহীন যোদ্ধা হয়তো কোনো সম্মুখ সমরে শহীদ হয়েছেন, কিংবা কোনো গেরিলা আক্রমণ চালাতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন পাক-বাহিনীর হাতে; নির্মম নির্যাতনেও বলে দেন নি তাঁর কোনো সহযোদ্ধার নাম।
কতজন কতভাবে মুক্তিযুদ্ধের সুফল ভোগ করে যাচ্ছে, অথচ ওঁর নামটাও আমরা জানি না। কী জানি হয়তো বেঁচে আছে এই বাংলার কোথাও। হয়তো রিকশা চালায়, কিংবা ভিক্ষা করে। অসুস্থ হলে মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ায় সাহায্যের জন্যে। হাসপাতাল বারান্দায় চিকিৎসাহীন কাতরাতে থাকে। রক্তের প্রয়োজন হলে হাউমাউ ক'রে কাঁদে।
এ হলো
আমাদের দেশ। হায়রে বাংলাদেশ!
========================================
পাদটিকাঃ কয়েকদিন আগে ফেসবুকে একজন নামহীন মুক্তিযোদ্ধার ছবি দেখলাম। ঠিক তখন মনে পড়ল একজন মুক্তিযোদ্ধার কথা; যার ছবি দেখেছিলাম পত্রিকায়। হাতে মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট, চোখে-মুখে আকুতি। হাসপাতালের বারান্দায় কাতরাচ্ছিলেন। রক্ত কেনার টাকা ছিল না। শেষ পর্যন্ত জানি না কী হয়েছিল। বেঁচে ছিলেন না কি মরে গিয়েছেন সে-খবর নেয়ার সাহস হয় নি আর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন