শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

একদিন ধরা খাওয়ার দিন.........

সেপ্টেম্বর মাসের ১১ তারিখ। ২০১৪ সাল। আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।  কাতেড্রা ইন্ডেটেক্স চেয়ার-এ স্পেনিশ ভাষার ক্লাস করতে গেলাম। সিঁড়িতে এক জুনিয়র ভাই কাম বন্ধু-র সাথে দেখা। সেও স্পেনীয় ভাষা শেখে, শেখে চীনা ভাষাও। কিছুদিন চীনা ভাষার একটা পরীক্ষা দিয়েছিলাম। সে জানালো রেজাল্ট হয়েছে।

একটা অস্থিরতা। কাকে জিজ্ঞাসা করলো রেজাল্ট জানতে পারবো জিজ্ঞাসা করতেই বন্ধুটি একজন চাইনিজ শিক্ষকের মোবাইল নাম্বার দিলেন। এস এম এস করলাম। এইবার অপেক্ষা।

অবশেষে রেজাল্ট জানলাম। ভালোভাবেই পাশ করেছি। অস্থিরতা কমেছে বলে মনে হলো না। আগে ছিলো অজানা অস্থিরতা, কিছুটা ভয়ের, কিছুটা দুঃশ্চিন্তার। কেমন পাশ করি, কেমন মার্ক্স পায়! এবার অনেকটা আনন্দের অস্থিরতা! হুররে, পাশ করেছি! বাসায় জানানো দরকার। ফোনো না বলে বরং তাড়াতাড়ি বাসায় পৌঁছে গেলেই হয়!

ভার্সিটি থেকে শাহাবাগের মোড়ে এলাম। তখন প্রায় সন্ধ্যা ৭ টা বাজে। কোনো বাস নেই। আসবো রামপুরা। এতদূরে রিকশাও আসতে চায় না। অপেক্ষা আর অপেক্ষা।

ফাল্গুন বাসগুলো অলরেডি দ্বিগুনের বেশি যাত্রী নিয়ে ফেলেছে। তারপরে চেষ্টা করি শাহবাগ থেকে উঠতে। উপায় নাই গোলাম হোসেন। পা-দানি তে যে পা দেবো সে জায়গা নায়, শরীর-কে এই নিশ্চিদ্র জায়গায় দাড় করানো অসম্ভব। রণে ভঙ্গ দেই। আবার অপেক্ষা এবং একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।

অবশেষে মাথায় অন্য বুদ্ধি খেললো। গুলিস্তানের বাস অনেক যাচ্ছে, এবং খালিও আছেও কিছুটা। ওঠে গেলাম বি আর টি সি-র একটা দোতলা বাসে। গন্তব্য পুরানা পল্টন, সেখান থেকে দেখি রামপুরা যাওয়া যায় কি না।

পুরানা পল্টনে পৌঁছে নিজেকে একটা উৎকৃষ্ট গাধা মনে হলো। এখানের অবস্থা আরো করুণ! আজ বোধ হয় আর বাসায় যেতে পারবো না। খালি সি এন জি পাওয়া যাচ্ছিল না, দু একটা যা পাচ্ছিলাম সেগুলো যে ভাড়া হাকঁছিল তা ঘুষ আর দুর্নীতির টাকা থাকলে চড়া সম্ভব। আর না হয় কিছু টাকা না হয় বেশি দান ক'রে দিলাম ভেবে একটা আত্মতৃপ্তি নিয়ে গন্তব্যে পাড়ি দেয়া। কিন্তু সেটাও মিলছিল না। প্রায় ২০ মিনিট দাঁড়ানোর পর হঠাৎ দেখলাম একটা প্রাইভেট কার আসলো।বললো উত্তরা, রামপুরা, বাড্ডা ইত্যকার অনেক জায়গার নাম বললো। আমার তখনই সন্দেহ লাগলো। তদুপরি গাড়িতে ইতোমধ্যে সামনে একজন পিছনে দুজন বসে আছে।দেখে ওদের চোর বাটপার মনে হয় নি।

চলবে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন