সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

সোয়াহিলি পাঠ ১

গৌরচন্দ্রিকা
মধ্য আফ্রিকার দেশ কঙ্গো-তে চাকরির সুবাদে প্রায় বছর তিনেকের মত থাকতে হয়েছিল। অনুবাদক ও দোভাষীর কাজ করার দরুন সাধারণ মানুষের সাথে মিশতে হয়েছিল হরহামেশাই। অসংখ্য উপজাতি ও তাদের ভাষার বৈচিত্র আমাকে মুগ্ধ করেছিল। পুরো কঙ্গো জুড়ে প্রায় ৪৫০টির মত ভাষার প্রচলন আছে। 
তবে সরকারি ভাষা হিসেবে কঙ্গো-তে পাঁচটি ভাষার ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। ঔপনিবেশিক ভাষা ফরাসি ছাড়াও যে ভাষাগুলো সরকারি দাপ্তরিক কাজ ব্যবহার করা হয় সেগুলো হলো, সোয়াহিলি, কিকঙ্গো, চিলোবা ও লিংগালা। কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসা ও পশ্চিমাঞ্চলে সাধারণত লিংগালা ও পূর্বাঞ্চলে সো্যাহিলি ভাষার ব্যপক প্রচলন দেখা যায়। এক এলাকার মানুষ সাধারণত অন্য এলাকার ভাষা বুঝতে বা বলতে পারে না বললেই চলে। সেক্ষেত্রে ফরাসি ভাষাটাই তাদের সকলের যোগাযোগের অন্যতম বাহন। শিক্ষার মাধ্যমও ফরাসি। পুরো কঙ্গো জুড়ে অন্য কোনো ভাষা শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি বা ঐতিহ্যের প্রধান অবলম্বন হিসেবে জাতীয়তাবাদের জন্ম দিতে পারে নি। দীর্ঘ সময় ধ’রে কঙ্গোত যে গৃহযুদ্ধ ও রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজমান তার পেছনে জাতিগত ও ভাষাগত অনৈক্যর এই বিষয়টিকে অনেকে দায়ী বলে মনে করেন।

(চলবে)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন