সোমবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৫

ভুবনের বাসিন্দারা

কতোক ড্রাকুলা বীভৎস উল্লাসে ছিন্নভিন্ন করে খেলো প্রস্ফুটিত গোলাপটিকে - হ্যাঁ, আমার প্রাণাধিক সহোদরাকে। বড্ড প্রিয় দিদিটিকে! ব্যর্থ আমি পারি নি এক বুক স্নেহকে নিষ্কণ্টক রাখতে, ভালোবাসায় আর্দ্র এক অবারিত নীল আকাশে তারাফুল ফুটাতে।
শুধু পেরেছি বিপন্ন সভ্যতার বর্বর লোমশ বুকে তাকে শুইয়ে দিতে, উৎসর্গ করতে। ... বিকৃত দেহটিকে আগলে ধরে লোনা অশ্রুতে পরপারের ভেলায় ভাসিয়ে দিতে।
 তার তীব্র চিৎকার, আকুতি যখন সারা পৃথিবীকে খান খান করা ভূকম্প তুলেছিল, অথচ কাছিম গতিতেও এগিয়ে আসে নি সহানুভূতির একটি ক্ষুদ্র হাত, অগণিত কাপুরুষের গহ্বরিত পদস্খলন দেখে তীক্ষ্ণ অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে নিজেকে জিজ্ঞাসা করিলাম, তুমি কি ব্যতিক্রম এদের থেকে?

অপ্রিয় এ-সত্যকে পুনর্বার উচ্চারণ করার সাহস হারালাম?


পাদটীকাঃ
এ-লেখাটি ৩ নভেম্বর ১৯৯৮ সালে ভোরের কাগপজের 'পাঠক ফোরামে' প্রকাশিত হয়। অনেকগুলো পাঠক ফিচার-এর মধ্যে আমার এই ছোট্ট লেখাটি স্থান পায়। ফিচারের বিষয় ছিলঃ 'চক্ষু খুলে দেখো...'

আমার একবারে প্রথম দিককার লেখা এটা। কাঁচা হাতের দুর্বল লেখা। পত্রিকার পাতাটি অনেক সযত্নে নিজের কাছে রেখেছিলাম। প্রায় বিবর্ণ অবস্থা। ভাবলাম লেখাটি কপি করে আমার ব্লগে রেখে দেয়। উচ্চ-মাধ্যমিকে পড়ার সময় এটি লিখেছিলাম। থাকল একটা স্মৃতি হিসেবে। কারণ এইসব ছোট্ট লেখার সাথে আমার অসংখ্য স্মৃতি জড়িয়ে আছে। কী অপরিসীম আনন্দ ও সুখ দিয়েছিল ছাপার অক্ষরে থাকা এই সব গুটি গুটি শব্দ-মালা তা আজ আর বোঝানো যাবে না। ভোরের কাগজের পাঠক ফোরাম সেই কৈশোরে কী তুমুল আলোড়ণ তুলেছিল আমার ভেতর তা আজ শুধু ইতিহাস, একান্ত ব্যক্তিগত ইতিহাস।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন