সোমবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৫

শপথ হোক দুঃখ ঘোচার

'৫২ এর এক লাজুক রোদ্দুরের বসন্ত দিনে লাল টকটকে রক্তে ধুয়ে মুছে যায় 'পাকসার জমিন সাদবাদ'। শহীদ কণ্ঠে আকাশ-পাতাল প্রকম্পিত হয় 'আমার সোনার বাংলা'য়। আর সেই ধ্বনিত কণ্ঠ আমার মাতৃভাষার, বাংলার। রক্তাক্ত ট্রাজেডির মধ্য দিয়ে পিচঢালা কালো রাজপথ রঞ্জিত করে যে ভাষার জন্ম, খুলি থেকে মগজ ঢেলে দিয়ে বঙ্গজননীর দামাল সন্তানেরা যে ভাষায় অধিকার স্থাপন করেছে কথা বলার, মাকে ডাকার, সেই তো আমরি বাংলাভাষা।

অগুণতি বীর শহীদের ত্যাগের তরে পাওয়া এই ভাষা হোক সর্বস্তরের প্রচলিত ভাষা। যেন সামান্যতম অবজ্ঞা না হয় আমার মাকে অর্থাৎ মাতৃভাষাকে। তবেই তো ঘুচবে দুঃখ - আমার দুঃখিনী বর্ণমালার।


পাদটীকাঃ
এ-লেখাটি ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯ সালে ভোরের কাগপজের 'পাঠক ফোরামে' প্রকাশিত হয়। অনেকগুলো পাঠক ফিচার-এর মধ্যে আমার এই ছোট্ট লেখাটি স্থান পায়। ফিচারের বিষয় ছিলঃ 'আ মরি বাংলা ভাষা'।

আমার একবারে প্রথম দিককার লেখা এটা। কাঁচা হাতের দুর্বল লেখা। পত্রিকার পাতাটি অনেক সযত্নে নিজের কাছে রেখেছিলাম। প্রায় বিবর্ণ অবস্থা। ভাবলাম লেখাটি কপি করে আমার ব্লগে রেখে দেয়। ভার্সিটিতে প্রথম বর্ষে পড়ার সময় এটি লিখেছিলাম। থাকল একটা স্মৃতি হিসেবে। কারণ এইসব ছোট্ট লেখার সাথে আমার অসংখ্য স্মৃতি জড়িয়ে আছে। কী অপরিসীম আনন্দ ও সুখ দিয়েছিল ছাপার অক্ষরে থাকা এই সব গুটি গুটি শব্দ-মালা তা আজ আর বোঝানো যাবে না। ভোরের কাগজের পাঠক ফোরাম সেই কৈশোরে কী তুমুল আলোড়ণ তুলেছিল আমার ভেতর তা আজ শুধু ইতিহাস, একান্ত ব্যক্তিগত ইতিহাস।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন