ইস্তাম্বুল শহরের মধ্যে এক ধরনের উচ্ছলতা আছে। উদ্দাম আর প্রাণ-প্রাচুর্যে ভরপুর একটা শহর এটি। শহর জুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে অসংখ্য ভ্রমণ পিয়াসী মানুষ। ছিমছিম শহর। বিশেষ চাকচিক্য নেই। আকাশ ছোঁয়া দালান নেই। অসম্ভব ব্যস্ত আর আর জীবিকার জন্য প্রাণপাত করার প্রতিযোগিতা নেই। আধুনিকতা আর প্রাচীনের এক অন্যরকম মিশেল আছে। আছে প্রাচ্য আর পাশ্চাত্যের সম্মিলন। ধর্ম আছে, ধর্মহীনতাও আছে। উদারতা যেমন আছে তেমনি গোঁড়ামিও খুজে পাওয়া সম্ভব। আমি যেই সময় কালের কথা সেটা ২০১২ সালের কথা। এর মধ্যে অনেক পরিবর্তনের কথা বৈশ্বিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে কানে এসে যায়।
পূর্ব আফ্রিকার দেশ কঙ্গোর কর্মস্থল থেকে কিছুদিনের ছুটি নিয়ে অবকাশ যাপনের জন্য ইউরোপ বিশেষ করে ফ্রান্সে বেড়াতে যাওয়ার জন্য একদিন খুব সকালে বুনিয়া বিমান বন্দর থেকে উগান্ডার উদ্দেশ্যে যাত্রা করি। উগান্ডার বিমানবন্দর 'এন্টেবি' আমার কর্মস্থল বুনিয়া থেকে খুব দূরে নয়। বিমানে চেপে বসার খুব অল্প সময়ের মধ্যে আনুমানিক ত্রিশ মিনিটের মধ্যে এন্টেবিতে এসে পৌঁছে যায়। এখান থেকে মূলত আমার ফ্রান্সে যাওয়ার বিমানে আরোহণ করতে হবে। তার্কিশ এয়ারের একটি বিমানে ফ্রান্সের উদ্দেশ্য চেপে বসি। প্যারিসে শার্ল দ্য গলে আমার চুড়ান্ত গন্তব্য হলেও মধ্যখানে যাত্রাবিরতির জন্য ইস্তাম্বুল বিমান বন্দরে অবতরণ করবে। বাংলাদেশিদের জন্য ইস্তাবুলে আগে থেকে ভিসা নিতে হয় না, অফিসিয়াল পার্সপোটধারীরা লাইনে দাঁড়িয়ে তাৎক্ষণিক ভিসা নিয়ে তুরস্কে ঘুরতে পারবেন। আর বিশেষ পূর্বের কোনো পরিকল্পনা না থাকলেও হঠাৎ সিদ্ধান্ত নিলাম তুরস্ক ভ্রমণের।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন